বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে দেয়া সরকারি নির্দেশনা না মানার ঘোষণা দিয়েছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। মঙ্গলবার তনু হত্যার বিচার চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়া শেষে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান হয়ই মূলত বিকেল বেলায়। সময় বেঁধে দিয়ে এই প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানের সর্বজনীনতা নষ্ট করা হচ্ছে। সংস্কৃতিকর্মীরা সরকারের এই সিদ্ধান্ত মানেন না জানিয়ে গোলাম কুদ্দুছ বলেন, বেঁধে দেয়া সময়সীমার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
এছাড়া বর্ষবরণের মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ পরা ও বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ করার বিষয়েও আপত্তি তোলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়ে গত রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুষ্ঠানস্থল জনশূন্য করে ফেলবে। একই সঙ্গে মঙ্গল শোভাযাত্রা বা আনন্দ মিছিলে চেহারা লুকানো যায় এমন মুখোশ পরা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্মারকলিপি দেয়ার আগে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সমাবেশ করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
সমাবেশ শেষে স্মারকলিপি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য মিছিল নিয়ে রওনা হলে দোয়েল চত্বরে পুলিশ তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পরে সাংস্কৃতিক জোটের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেন। মন্ত্রী না থাকার তার পক্ষে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা স্মারকলপিটি গ্রহণ করেন।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/05-04-2016/মইনুল হোসেন