muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

চক্ষু সেবায় জেন্ডার সমতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আশরাফ আলী, কিশোরগঞ্জ থেকে

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থ্যা নারী উদ্যোগ কেন্দ্র (নউক) পরিচালিত কিশোরগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল কর্তৃক জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এর সম্মেলন কক্ষে “বাংলাদেশে চক্ষু সেবায় জেন্ডার সমতা বিষয়ক” এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গুরুদয়াল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ জনাব রাম চন্দ্র রায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব মোঃ শরিফুল ইসলাম, জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা জনাব মোঃ হারুন-অর-রশিদ, কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (সিডিসি) জনাব ডাঃ ইমরান আহমেদ । মুখ্য আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নারী উদ্যোগ কেন্দ্র (নউক) এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মাশহুদা খাতুন শেফালী।

মানুষের মৌলিক চাহিদা সমূহের মধ্যে স্বাস্থ্য হলো অন্যতম। মানুষের এই অন্যতম অধিকার নিশ্চিত করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নানামুখী কাযক্রম বাস্তবায়ন করছে বিশেষ করে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় বাংলাদেশের অর্জন অপরিসীম। সাধারণ স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি আর একটি অন্যতম চিকিৎসা সেবা হলো চক্ষু সেবা। বাংলাদেশে মোট অন্ধত্বের শতকরা ৮০ ভাগই হয়ে থাকে ছানিজনিত কারণে যা একটি সাধারণ অপারেশনের মাধ্যমে সহজেই নিরাময় করা যায় এবং অন্ধ ব্যক্তি পূর্বের মতো দেখতে পায় । নিরাময়যোগ্য অন্ধত্ব নিবারণের লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত “ভিশন ২০২০” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ হিসাবে অন্ধত্ব নিবারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। উক্ত কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে অরবিস’ এর এশিয়া আ্ঞ্চলিক কর্মসূচি এর সহযোগিতায় নারী উদ্যোগ কেন্দ্র (নউক) ২০১৪ সালে “বাংলাদেশে চক্ষু সেবায় জেন্ডার সমতা” বিষয়ক একটি গবেষণার কাজ সম্পন্ন করে। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় চোখের বিভিন্ন রোগের মধ্যে ছানি ও নালী অন্যতম এবং নারীরাই এসকল রোগে বেশী আক্রান্ত। কিন্তু চক্ষু সেবায় নারীদের অংশগ্রহণ পুরুষদের তুলানায় অনেক কম। নারীদের চক্ষু সেবা গ্রহণের হার কম হওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতার অভাব।
চিকিৎসার খরচের জন্য তারা স্বামী বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপর নির্ভর করতে হয় এবং চিকিৎসা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য তাকে স্বামী বা পরিবারের সদ্যস্যদের অনুমতি বা সহযোগিতা নিতে হয়। নারীদের চক্ষু সেবায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে চিহ্নিত প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করে কিভাবে তাদের চক্ষু সেবা নিশ্চিত করা যায় সে বিষয় সুনির্দিষ্ঠ মতামত ও সুপারিশ নেওয়া হয়। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার লুনাসহ বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, পাকুন্দিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ, বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার জেলা পর্যায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ।

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/06-04-2016/মইনুল হোসেন

Tags: