muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

খেলার খবর

পর্দা উঠল কাতার বিশ্বকাপের

জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো কাতার বিশ্বকাপ। আল বায়ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানের শুরুতে নাচ, গান দিয়ে কাতারের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি তুলে ধরা হলো।

বিশ্বকাপ ট্রফির পাশে পােজ দেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের সাবেক ডিফেন্ডার মার্সেল দেশাই । বিশ্বকাপ ট্রফি মাঠে একটি শোকেসের মধ্যে রাখা হয়।

এরপরই মঞ্চে আসেন প্রবীণ মার্কিন অভিনেতা মর্গ্যান ফ্রিম্যান। তিনি বিশ্বকাপের পথ পরিক্রমা সম্পর্কে বলেন।

ফ্রিম্যান যাওয়ার পর ফের গান শুরু হয়। কাতারের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে আসেন শিল্পীরা। ছিল ঢাকা-ঢোল। হাতে ছিল তলোয়ার। গানের সঙ্গে চলতে থাকে আকর্ষণীয় ডিসপ্লে। আগের কয়েকটি আসরের থিম।

অংশগ্রহনকারী ৩২টি দেশের পতাকা ও জার্সি পরে নৃত্যরত পারফরমাররা মুগ্ধ করে রাখেন দর্শককে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে পুয়ের্তোরিকান গায়ক রিকি মার্টিনের ‘আলে! আলে! আলে!’ গানেও পারফর্ম করা হয়।

পরে ২০১০ বিশ্বকাপের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে শাকিরার ‘ওয়াকা ওয়াকা’ গানটিও পারফর্ম করা হয়। এ ছাড়াও ২০১৪ বিশ্বকাপে পিটবুল, জেনিফার লোপেজের গাওয়া ‘ওলে ওলা’ গান পরিবেশন করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ড বিটিএসের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য জাংকুক কাতার বিশ্বকাপের অফিশিয়াল গান ‘ড্রিমারস’ পারফর্ম করেন। জাংকুকের সঙ্গে গেয়েছেন কাতারের গায়ক ফাহাদ আল কুবাইশি।

সেবশেষ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি স্বাগত জানালেন দর্শককে। তিনি বলেন, ‘মানুষে মানুষে বিভেদ ভুলে এই ঐক্য দেখতে অসাধারণ লাগছে! বিশ্বকে দোহায় স্বাগতম!’

অনুষ্ঠানের চমক ছিল আলোর রোশনাই ছড়ানো আতশবাজি। আল বায়ত স্টেডিয়াম আলোকিত হলো। পর্দা উঠল কাতার বিশ্বকাপের!