মিশরের আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে এবং ভ্রমন করতে আসা বাংলাদেশি পাসপোর্ট ধারীদের ভিসা পেতে দেরি হওয়া নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে অভিযোগ করছেন অনেক বাংলাদেশি।
বিষয়টি কায়রোস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসের দৃষ্টিগোচর হলে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪শে নভেম্বর ২০২২) মিশরে বাংলাদেশ দুতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম সাক্ষাত করেন মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইসমাইল খায়রাত এর সাথে। প্রথমেই রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য বিশেষ শর্তে অন এরাইভেল ভিসার সুবিধাটি মঞ্জুর করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বৈঠকে তারা উভয়ে একমত হন যে, এই ব্যবস্থার কারনে উভয় দেশের মধ্যে পর্যটন ও বানিজ্যিক ভ্রমন বৃদ্ধি পাবে। এভাবে উভয় দেশের ভ্রাতৃত্ত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নততর হবে। অন্যান্য সাধারণ বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রদূত ভিসা সহজিকরণের জন্য অনুরোধ করলে সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, এই ভিসা সাধারণত দুই সপ্তাহের বেশী লাগার কথা নয়। তিনি বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান।
রাষ্ট্রদূত সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, প্রচুর বাংলাদেশী ছাত্র বর্তমানে মিশরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতে আগ্রহী হয়েছে। বিশেষ করে তাদের জন্য বিশ্ববিখ্যাত আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করা একটি স্বপ্নের বিষয়। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অনেক বাংলাদেশী ছাত্র মিশরে আসতে আগ্রহী। সম্প্রতি বাংলাদেশী ছাত্রদের মিশরীয় ভিসা প্রাপ্তির ব্যপারে বিলম্বজনিত জটিলতা ও সসমস্যাদি সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টা বিষেশ করে শিক্ষা বৃত্তি পাওয়ার পরও ভিসা বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি সহকারী মন্ত্রীকে অবহিত করার পর তিনি মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত কর্মকর্তাকে তাৎক্ষনিক ভাবে আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয় ও স্ট্যাট সিকিউরিটির সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
ছাত্রদের ভিসার বিষয়ে সহকারী মন্ত্রী জানান, নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রাপ্তির জন্য কিছু সময় লাগে বিধায় এই ভিসা প্রাপ্তিতে অন্তত দুই মাস সময় লাগে।
রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরো বলেন যে, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বানিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবিলম্বে গ্রহন করা দরকার। তারা উভয়ে একমত হন যে, ভিসা সহজিকরণ এবং কায়রো-ঢাকা সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার মাধ্যমে দুই দেশের সুসম্পর্ক নতুন ভাবে গতি লাভ করবে।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দুতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন।