স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে সাম্প্রতিক এক গবেষণার ভিত্তিতে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। গবেষণায় জানা গেছে— ধূমপান মস্তিষ্কের বাইরের স্তর বা ‘কর্টেক্স’ পাতলা করে ফেলে। মস্তিষ্কের এই অংশ স্মৃতি, ভাষা এবং উপলব্ধির বিষয়গুলো সঙ্গে যুক্ত। ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে চিন্তাশক্তি কমতে থাকে।
এই গবেষণার লেখক ও কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির মনোরোগবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক শেরিফ কারামা বলেন, “যারা নিয়মিত ধূমপান করেন, তাদের জানা উচিত সিগারেট মস্তিষ্কের বাইরের স্তর দ্রুত পাতলা করে ফেলে। যা বোধশক্তির অবনতি দিকে নিয়ে যায়।”
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ধূমপান বন্ধ করার মাধ্যমে অন্তত কর্টেক্স বা মস্তিষ্কের বাইরের স্তরের ঘনত্ব পুনরায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
২৪৪ জন পুরুষ ও ২৬০ জন মহিলাকে নিয়ে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়। এদের গড় বয়স ৭৩ বছর। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক সদস্যই ছোটবেলায় ১৯৪৭ সালের স্কটিশ মানসিক জরিপে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
কারামা নির্দিষ্ট করে বলেন, “গবেষণায় দেখা গেছে, ৭৩ বছর বয়সে অধূমপায়ীদের চাইতে যারা ধূমপায়ী এবং যারা আগে ধূমপান করতেন তাদের মস্তিষ্কের কর্টেক্সের অনেক অংশই কিছুটা পাতলা রয়ে গেছে। আর এদের মধ্যে যারা ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন মনে হয়েছে প্রতিবছর অল্প হলেও তাদের মস্তিষ্কের কর্টেক্সের ঘনত্ব পুরু হয়েছে।”
তবে আপাতদৃষ্টিতে এই নিরাময় বেশ সময় সাপেক্ষ এবং অসম্পূর্ণ।
মলেকিউলার সাইকায়াট্রি জার্নালে প্রকাশিত হওয়া এই গবেষণাপত্রে আরও জানানো হয়, গবেষণায় অংশ নেওয়া অতিরিক্ত ধূমপায়ীদের মধ্যে যারা ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন তাদের কর্টেক্স এখনও পাতলা।