বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটর কমিশনের (বিইআরসি) পাশাপাশি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য ধার্য করার ক্ষমতা সরকারের কাছেও আসছে। এখন থেকে বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার চাইলে প্রয়োজনে ট্যারিফ বা দাম নির্ধারণ করতে পারবে। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশে ছোট একটি সংশোধন নিয়ে আসা হয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে সরকার চাইলে ট্যারিফ নির্ধারণ করতে পারবে। এলক্ষ্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশে ২০২২ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ফুয়েলসহ অন্যান্য এনার্জি বেসরকারিভাবে আমদানির ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সেক্ষেত্রে দুটি অপশন- বেসরকারি আমদানিকারকেরা আমদানি করে নিজেরাই বাজারে বিক্রি করলে কি বেশি বেটার (ভালো) হবে? এখন যে আইন আছে তারা (বেসরকারি আমদানিকারকেরা) ক্রুড অয়েল আনবে, এনে তারা যদি রিফাইন করে।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এখন তো আমাদের বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) ছাড়া কেউ জ্বালানি বাজারজাত করতে পারে না। সাধারণত ক্রুড অয়েল রিফাইন করে ৪১ থেকে ৪২ শতাংশ রিফাইনড অয়েল হয়।
রিফাইনড অয়েলটা তারা বিপিসির কাছে দিয়ে দিল অথবা তারা সরাসরিভাবে বাজারজাত করতে পারে কি না সেটাও দেখতে হবে। তবে যেটা করতে হবে তা হলো, ক্রুড অয়েল যারা আনবে বিটুমিনসহ অন্যান্য যে উপজাত পণ্য আসবে এগুলো হয় তারা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করবে অথবা বাইরে রপ্তানি করবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘তবে রিফাইনড অয়েল বিষয়ে দুটি অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হয় তারা বিপিসির কাছে বিক্রি করে দিতে পারে বা বিপিসি তাদের অন্য কোনো ম্যাকানিজ বা আইন সংশোধন করে বিক্রির অনুমতি দিতে পারে। এক্ষেত্রে যেটা রিফাইনড হলো সেটা আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য কি না, তা বিএসটিআইকে মনিটরিং করতে হবে।’
বেসরকারি পর্যায়ে ক্রুড ওয়েল আমদানির বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না, এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনায় রাখতে বলা হয়েছে এবং খুব শিগগির সিদ্ধান্তে যেতে বলা হয়েছে।’