muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আগামী অর্থবছরের (২০১৬-১৭) বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সীমিত বাজেট নিয়ে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের সাফল্য তৃতীয় বিশ্বের যেকোনো দেশগুলোর তুলনায় অনেক ভালো।

তাই স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে এ খাতে আরও বেশি বাজেট বরাদ্দ করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। ‘সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করুণ : ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখুন’ স্লোগানে বৃহষ্পতিবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।

স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন এনডিসি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি এন পারানিথারান, বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ধনী জনগোষ্ঠীর জন্য দেশে-বিদেশে অনেক উন্নত হাসপাতাল আছে। কিন্তু গরিবদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সরকারি হাসপাতাল আছে। তাই তৃণমূলের গরিব মানুষদের সঠিক ভাবে সেবা দিতে এবং স্বাস্থ্যসেবাকে সম্প্রসারিত করতে হলে আমাদের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বিদেশের বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে দেশের স্বাস্থ্য খাতকে বেশিদূর এগিয়ে নেওয়া যাবে না।

আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর কেউ কেউ নানা অজুহাতে স্বাস্থ্য খাতে অর্থ কমিয়ে দিচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সকল কাজ পরিচালিত হচ্ছে। যন্ত্রপাতি কেনা থেকে শুরু করে সব কেনাকাটায় পৃথক কমিটি করা হয়েছে। কোনো যন্ত্রপাতি কেনার প্রয়োজন হলে কমিটির অনুমোদন লাগে। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে দাতা সংস্থা গুলো অর্থ কমিয়ে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য পৃথক কমিটি আছে। মন্ত্রণালয়ের একক সিদ্ধান্তে কোনো কাজ হয় না। তারপরও দাতা সংস্থারা নানা অজুহাতে তাদের প্রতিশ্রুত রক্ষা করছে না। অর্থ কাটছাঁট করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাতাদের পরামর্শ নেবে। কিন্তু তাদের সকল শর্ত মেনে নিয়ে কাজ করবে না।

সন্তানদের ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার কম খাওয়াতে পিতা-মাতার প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমাদের দেশে একটা ট্রেডিশন হয়ে গেছে ছেলেমেয়েদের ফাস্ট ফুড খাওয়াতে হবে। এ সকল ফাস্ট ফুড খাবার কারণে ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে। তাই পিতা-মাতার উচিত স্বাস্থ্য সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন, ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ এবং কিছু শারীরিক ব্যায়াম ও তামাক সেবন বন্ধ করা।

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/07-04-2016/মইনুল হোসেন

Tags: