রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত ছাড়াও অনেকেই আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বিকেল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে রুহুল কবির রিজভীকে আটক করা হয়। তার আগে দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘পুলিশ কমিশনারের (ডিএমপি কমিশনার) সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি যেতে বলেছিলেন। এ জন্য কার্যালয় থেকে বের হয়েছিলাম। কার্যালয়ের নিচ থেকে ডিবি পুলিশ আমাকে ধরে। এখন কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আমি জানি না।
আর প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিমুল বিশ্বাসকে আটকের পর একটি মাইক্রোবাসে তোলা হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে নিয়ে যায় ডিবি। তাকে আটকের কিছুক্ষণ আগে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নয়াপল্টনের সামনে থেকে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানকেও আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আটক করে পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ অন্তত শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
বিএনপির কতজনকে এ পর্যন্ত আটক করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে আজ বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমরা অ্যাকশন মুডে আছি, অ্যাকশন মুডে থাকার সময় এ ধরনের কথা বলা যাবে না।’