জঙ্গিবাদ, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডরোধে কিশোরগঞ্জে ব্লক রেইড শুরু করেছে পুলিশ। এ কার্যক্রমের আওতায় জেলাজুড়ে বসানো তল্লাশিচৌকিতে যানবাহন থামিয়ে যাত্রী ও চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তল্লাশি করা হচ্ছে সন্দেহভাজনদের ব্যাগ। পাশাপাশি মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।
সফলভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে চারজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও একজন সহকারী পুলিশ সুপার এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ২৯ নভেম্বর পুলিশ সদরদপ্তরের অপারেশন শাখার পাঠানো এক আদেশে দেশের সব পুলিশ ইউনিটের প্রধান ও সব জেলার পুলিশ সুপারদের ১-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় অভিযান জোরালো করতে ভৈরব, কুলিয়ারচর ও বাজিতপুর থানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মোস্তাক সরকার, পাকুন্দিয়া ও নিকলী থানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদ নূরে আলম, কিশোরগঞ্জ সদর, তাড়াইল ও করিমগঞ্জ থানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আল-আমিন হোসাইন, হোসেনপুর ও কটিয়াদী থানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) সুজন চন্দ্র সরকার এবং ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম থানা এলাকায় সহকারী পুলিশ সুপার (অষ্টগ্রাম সার্কেল) স্যামুয়েল সাংমা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, জঙ্গিবাদ, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডরোধের পাশাপাশি আদালত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ব্লক রেইড, চেকপোস্ট, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহন তল্লাশি কার্যক্রম জোরালোভাবে চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এতে পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকের বিপুল সংখ্যক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি আরও জানান, যে কোনো অপতৎপরতা এড়াতে পরোয়ানাভূক্ত আসামিসহ নজরদারিতে রয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকাণ্ড। বহিরাগতদের তৎপরতার বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। এছাড়া পুলিশের সাইবার ক্রাইম টিমের মনিটরিংয়ের আওতায় রয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।