সোনালী ব্যাংকের ৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়ুন কবিরসহ ৯ জনকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক এমডি ও সিইও হুমায়ুন কবির, জিএম ননী গোপাল নাথ, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, এজিএম কামরুল হোসেন খান, ডিএমডি মাইনুল হক, এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, প্যারাগন প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মন্ডল ট্রেডার্সের মালিক মকুল হোসেন।
আসামিদের আদালত পেনাল কোডের ৪০৯ ধারায় ১০ বছর এবং ৪২০ ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ড দেন। আদালত আত্মসাৎ করা ৫ কোটি ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা ১০ আসামির কাছ থেকে সমহারে নিয়ে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিদের মধ্যে রায় ঘোষণার সময় কারাগারে আটক থাকা ডিএমডি মাইনুল হক, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ ও এজিএম কামরুল হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে বাকি ৬ আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্যারাগন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড বরাবর মিথ্যা ও ভুয়া আমদানি রপ্তানি দেখিয়ে আইবিপি বাবদ ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা পরিশোধ না করে পরবর্তীতে সমন্বয় অন্তে আইবিপি ঋণ সৃষ্টি করে ৫ কোটি ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। এভাবে আসামিরা পেনাল কোডের ৪০৬/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় রমনা মডেল থানার মামলা করে দুদক। এরপর মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে সেলিনা আখতার মনি মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটিতে ৪৩ জন সাক্ষী দিয়েছেন।