কিশোরগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) জেলা পুলিশের আয়োজনে ৩৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্যকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে পুলিশ একাত্তরের ন্যায় প্রতিরোধ করে যাবে। পঁচাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি দেশে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল, যে কারণে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতে পারতেননা। তিনি প্রশ্ন রাখেন, কারা গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব দিয়ে দেশে ফিরিয়ে এনেছে? কারা নিজামী-মোজহিদদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল? কারা রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী করেছিল?
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে ঘাতকরা তার লাশ ঢাকায় না এনে অজপাড়া গাঁ টুঙ্গিপাড়ায় দাফন করেছিল। তারা ভেবেছিল, সেখানে কেউ কোনদিন তার খোঁজ করবেনা। ইনডেমনিটি জারি করে তার বিচারের পথ রুদ্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু মানুষ এখন সত্য ইতিহাস জানতে পারছে। টুঙ্গিপাড়া এখন তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। অথচ শিশুকালে আমাদেরকে পাঠ্যবইয়ে পড়তে হয়েছে, কেউ একজন বাঁশিতে ফুঁক দেওয়ার কারণে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল! এমন তামাশাও দেখতে হয়েছে জাতিকে।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ আফজল, গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জামালুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আসাদ উল্লাহ, পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দ ফরহাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাক সরকারের সঞ্চালনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নুরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. আল আমিন হোসাইন, হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।