muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

উত্তরা এপার্টমেন্ট ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য নানামুখী কর্মসূচি নিয়েছে রাজউক

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ- উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রকল্পের ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য নানামুখী কর্মসূচি নিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারের পাশাপাশি বিপনন ক্যাম্পেইন কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি রোড শো আয়োজনের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি মো. দবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, কামাল আহমেদ মজুমদার, এ কে এম ফজলুল হক, মো. আবু জাহির, আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ (দুলাল) ও নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে রাজউকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রকল্পের ‘এ’ ব্লকে ৭৯টি ১৬ তলা ভবনে ৬ হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ চলছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৮৪০টি, ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে আরো ৫০৪টি, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আরো ৩ হাজার ৪৪৪টি এবং ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে বাকী এক হাজার ৮৪৮টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর উপযোগী করা সম্ভব হবে।

আরো জানানো হয়েছে, অবিক্রিত ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য বিপনন ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার জন্য খ্যাতনামা ক্যাম্পেইন ম্যানেজমেন্ট কম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উক্ত ক্যাম্পেইনে দেশের এক হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এছাড়া প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কমার্শিয়াল বিজ্ঞাপন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে ওই সকল কর্মসূচির পাশাপাশি রোড-শো আয়োজনের সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে রাজউকের এই ফ্ল্যাট প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। আগের বৈঠকে মন্ত্রী নিজেও এই প্রকল্পের কার্যক্রমে হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানোর তাগিদ দেন।

গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের কার্যবিবরণীতে থেকে জানা গেছে, ওই বৈঠকে মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ নির্মিত ফ্ল্যাটগুলো দ্রুত বিক্রি হলেও রাজউকের ফ্ল্যাট প্রকল্প সম্পর্কে জনমনে বিরুপ মনোভাব সৃষ্টি হওয়ায় ফ্ল্যাটগুলো বিক্রিতে কাঙ্খিত আবেদনপত্র পাওয়া যায়নি। অথচ এই ফ্ল্যাটগুলোর সুযোগ-সুবিধা বেসরকারী কম্পানির ফ্ল্যাটের থেকে অনেক বেশী। মূল্য পরিশোধের সময়ও অনেক বেশী। বিষয়গুলো ব্যাপক প্রচার করা গেলে ফ্ল্যাটগুলো দ্রুত বিক্রি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে বৈঠকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে সকল প্রকার টেন্ডারিং কার্যক্রমে ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়া চালুকরণ ও সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের অধীনস্ত বাড়ি/ফ্ল্যাটের ইউটিলিটি (পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস) বিল আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের আরো দায়িত্বশীল হওয়ার সুপারিশ করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/12-04-2016/মইনুল হোসেন

Tags: