কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে গড়ে ওঠা একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের পর রূপালী বেগম (১৮) নামে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে বেঁচে আছে নবজাতক।
রোববার রাত ৯টার দিকে শহরতলীর যশোদল এলাকায় অবস্থিত আল-হেরা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা গেছে, জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা এলাকার সৌদী প্রবাসী পলিন মিয়ার স্ত্রী রূপালী বেগমকে রোববার বিকালে আল-হেরা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। এ সময় ডা. আক্তার নাহার জ্যোতি গৃহবধূ রূপালীকে সিজারিয়ান অপারেশন করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর তার একটি পুত্রসন্তান জন্ম হয়।
স্বজনদের অভিযোগ, সন্তান জন্ম নেওয়ার দীর্ঘ সময় পার হলেও রূপালী বেগমকে রহস্যজনক কারণে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হচ্ছিল না। শেষে রাত ৯টার দিকে গৃহবধূ রূপালীকে ওটি থেকে অচেতন অবস্থায় বের করে স্বজনদের না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মকর্তারা। তবে ময়মনসিংহ নেওয়ার পথেই রাত ১০টার দিকে রূপালী বেগমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর পরই হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান হাসপাতালটির কর্মকর্তারা।
কিশোরগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ওই হাসপাতালের দায়িত্বশীল কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এ ঘটনায় মামলার এজাহার পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রূপালী বেগমের নবজাতক সন্তানকে এমন পরিস্থিতিতে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চাইল্ড কেয়ার বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।