মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ- ২০১৮ সালের মধ্যে পায়রা নদীর ওপর লেবুখালী সেতুর নির্মাণ সম্পন্ন করতে হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে লেবুখালী সেতুর নির্মাণ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান লং ঝিয়াং রোডস এন্ড ব্রীজ বিল্ডার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাঙ ইয়ান লুং চুক্তিপত্রে সই করেন।চুক্তিসই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সাবেক মন্ত্রী আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন এমপি, লুৎফুননেছা এমপি, এডভোকেট মনিরুল ইসলাম এমপি এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব এম.এন. সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা-বরগুনা মহাসড়কের লেবুখালীর কাছে পায়রা নদীর ওপর এই সেতু ৩৩ মাসের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। সংযোগ সড়কসহ ১ হাজার ৪৭০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি নির্মাণ এবং তীর সুরক্ষা নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়েছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লং ঝিয়াং রোডস এন্ড ব্রীজ বিল্ডার্স কোম্পানী লিমিটেড।
এক হাজার ২২ কোটি ব্যয়ে সেতু নির্মাণ শুরু করে ২০১৮ সালে মধ্যেই সম্পন্ন করার জন্য চীনা প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। এই সেতুটি বাস্তবায়ন হলে পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ গোটা দক্ষিণবঙ্গের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
লেবুখালিতে সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে পণ্যবাহী গাড়ি, ট্রাক, লরি বিনা ফেরিতেই উত্তরবঙ্গে যাতায়াত করতে পারবে। আর খুলনা হয়ে পশ্চিমাঞ্চলে যেতে পার হতে হবে কেবল বেকুটিয়া ফেরি। পায়রা নদীর লেবুখালী সেতু নির্মাণের জন্য গঠিত প্রকল্পটি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির অনুমোদন লাভ করেছে।
২০১১ সালে কুয়েত উন্নয়ন তহবিলের সাথে খসড়া ঋণ চুক্তি এবং ২০১২-এর ১৩ মার্চ চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেতুটি নির্মাণে ৮০ভাগ অর্থই কুয়েত উন্নয়ন তহবিল থেকে দেয়া হবে।
২০১২-এর মে মাসে প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক এর চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকতারা জানান, নদীর দুই তীরে ‘সংযোগ সেতু বা ভায়াডাক্ট’ থাকছে ৮৪০মিটার। সেতুটির দু প্রান্তে ৮৯০মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যে প্রায় ১২হেক্টর জমি হুকুম দখল প্রক্রিয়াও ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/13-04-2016/মইনুল হোসেন