চলছে প্রেমের মরসুম। সামনেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে। আর এই সময়েই প্রেমিকার সামনে নিজেকে হিরো প্রমাণ করতে পুলিশের পোশাক ও উপপরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার ব্যাজ পরে থানার নামফলকের সামনে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন এক যুবক।
ফোনের অন্য প্রান্তের মানুষটির কাছে তিনি পুলিশের এসআই, সেটা প্রমাণের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জানা যায়, দীপ্ত আচার্য্য নামের ওই যুবক পুলিশের কেউ নন।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের পোশাক পরে ‘প্রতারণার’ অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার দিপ্ত আচার্য্য কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি গ্রামের চন্দ্র আচার্য্যের ছেলে।
ভৈরব থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় , বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পুলিশের কটি ও বুট পরিহিত, কোমরে আইডি কার্ড ঝোলানো এবং পুলিশের মনোগ্রামযুক্ত ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি তুলছিলেন দিপ্ত আচার্য্য। এসময় তিনি ইমোতে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন। বিষয়টি ভৈরব থানায় কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুর রহমানের নজরে আসে। তাকে জিজ্ঞাসা করলে দিপ্ত জানান, তিনি এসআই পদে চাঁদপুর থানায় কর্মরত। এসময় তার পায়ের বুট ও আইডি কার্ড চেক করতেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে।
জানা যায়, ওই যুবক চাঁদপুর থানায় কর্মরত এক নারী পুলিশ সদস্যের সঙ্গে প্রেম করে আসছিলেন। প্রেমিকার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতেই নকল এসআই সেজে ভৈরব থানায় কর্মরত আছেন তা বোঝাতে চেয়েছিলেন।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, পুলিশের পোশাক ও ব্যাজ পরিধান করে প্রতারণার অভিযোগে দীপ্ত আচার্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।