যশোরের বাঘারপাড়ায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত নাজমুল হক ওরফে বান্দা আলী (৩৫) উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের ঠাকুরকাঠি গ্রামের নওশের আলীর ছেলে।
ঘটনার ১৫ মাসের মাথায় রোববার (৫ মার্চ) যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির এই দণ্ডাদেশ দেন। সেইসঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের ঠাকুরকাঠি গ্রামের মুক্তার হোসেনের মেয়েকে (৬) ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর সকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বজনদের সঙ্গে প্রতিবেশী নওশের আলীর ছেলে নাজমুলও খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এর মাঝে নাজমুলকে তার বাড়ির পাশের একটি ফাঁকা স্থানে গর্ত খুড়তে দেখতে পান প্রতিবেশীরা। সেখানেই শিশুটির একটি স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়।
পরে নাজমুলকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীরা তাকে ধরে ফেললে একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, শিশুটির মরদেহ তার ঘরের খাটের নিচে রাখা আছে। নাজমুল আরও জানান, রিক্তাকে প্রথমে ধর্ষণ করে পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন তিনি। এরপর মরদেহ পুঁতে রাখার জন্য গর্ত করছিলেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নাজমুলকে আটক করে।
এ ঘটনায় রিক্তার বাবা মুক্তার আলী বিশ্বাস বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেন। আটকের পর আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যা ও ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি দেন নাজমুল। সেই থেকেই কারাগারে আছেন নাজমুল। এর মাঝে মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ১৭ মে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আওয়াল হোসেন।
এ মামলায় ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রোববার আদালত বাদী ও আসামির উপস্থিতিতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আদালত নাজমুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার বাদীসহ তার পরিবারের সদস্যরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সেতারা খাতুন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।