দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
আজ বুধবার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ১৬তম কমিশন বৈঠক শেষে ইসি সচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আগামী মে থেকে জুনের মধ্যে গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও খুলনা সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য আগামী এপ্রিলের মধ্যে তফসিল ঘোষণা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন সভায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান মো. জাহাংগীর আলম।
মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ‘কোন সিটিতে কখন নির্বাচন হবে তা সময় অনুযায়ী জানানো হবে। আমরা মে থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করব। এইচএসসি পরীক্ষা হবে সম্ভাব্য ৭ জুলাই থেকে। এ জন্য এসএসসি পরীক্ষা শেষে ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যবর্তী সময়ে তিন ধাপে পাঁচটি সিটির ভোট করার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
ইসি সচিব আরও বলেন, ‘তফসিলের সময় ও কোন তারিখে কোনটার ভোটগ্রহণ হবে, তা পরে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে। মেয়াদ বিবেচনা করে এপ্রিলের মধ্যে তফসিল করা হবে। সবগুলো নির্বাচন হবে ইভিএমে।’
এসব নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা রাখার কথাও জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন, ‘রোড ম্যাপের আলোকে কোন কাজে কতটুকু অগ্রগতি, তা কমিশনকে জানানো হয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, নতুন দল নিবন্ধন, নির্বাচনী সীমানার খসড়া প্রকাশ, পর্যবেক্ষক সংস্থার আবেদন যাচাই-বাছাই চলছে।’
সচিব জানান, ঈদুল ফিতরের পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি দল পাঠিয়ে প্রবাসীদের এনআইডি সেবার বিষয়ে প্রাইলট প্রকল্প চালু করা হবে। ভোটাররা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে এসে আবেদন করবেন। সেই আবেদন স্থানীয়ভাবে যাচাই-বাছাই ও তদন্ত হবে। পরে দূতাবাসে এসে আঙুলের ছাপ ও অন্য তথ্য নেওয়া হবে। এরপর নির্বাচন কমিশন স্মার্ট কার্ড তৈরি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে পাঠানো হবে। সেখান থেকে এনআইডি নিতে পারবেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এখন পর্যন্ত ছয় দেশ থেকে পাঁচ হাজারের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির ভোটার নিবন্ধনের আবেদন পাওয়ার পর তাদের স্থানীয় ঠিকানা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এর মধ্যে সাড়ে চার হাজার আবেদনের তদন্ত বাকি রয়েছে, প্রায় ৩০০ আবেদন অনুমোদন পেয়েছে এবং ২০০ আবেদন বাতিল হয়েছে।