মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ- নোয়াখালী থেকে ঢাকায় আসার পথে বাসের সুপারভাইজার ইডেন কলেজের মাস্টার্সের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী।
গত শনিবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে নোয়াখালীর সোনাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে একুশে পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪৯৩৮২) একটি বাসে ওঠেন ইডেনের ওই ছাত্রী। বাসের আসন ছিল একেবারে পেছনের এইচ-১ নম্বর। বাসটি ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে পৌঁছালে সেখানে অধিকাংশ যাত্রী নেমে যায়। ওই বাসে সেসময় হাতেগোণা দুইয়েকজন যাত্রী থাকার সুযোগে বাসের সুপারভাইজার এসে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু করেন। মনির নামের ওই সুপারভাইজার অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার এক পর্যায়ে তাঁর কাছে জানতে চায় স্বামী আছে কি না। ওই ছাত্রী বলেন, তাঁর প্রশ্ন থেকে বাঁচার জন্য বিবাহিত না হলেও আমি বলি, আমার স্বামী আছে। তারপরও তিনি স্বামী কী করে, কোথায় যাব, একা কেন এসব প্রশ্ন করতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি আমার পাশে বসে যেতে চাইলে আমি দৌঁড়ে সামনের দিকে চলে আসি। কিন্তু তারপরেও সুপারভাইজারের অকথ্য কথাবার্তা থামে নি।
পুরো সময় আতঙ্কে থাকার পর শাহবাগ মোড়ে নেমে ওই ছাত্রী তাঁর পরিচিত বন্ধুদের ফোন করে বিষয়টি জানান। বন্ধুরা আসার আগেই বাসটি চলে যায়। এসময় তাঁর বন্ধুরা ঘটনাটি বাস মালিক শামসুদ্দিন ফরহাদের কাছে জানান। সেদিন তিনি সোমবারের মধ্যে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেন নি বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে সামসুদ্দিন ফরহাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি যৌন হয়রানির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সুপারভাইজার মনিরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কোনো অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি যথার্থ উত্তর দিতে পারেন নি।
ছাত্রীর বন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, বাস মালিকের সাথে কাকরাইল অফিসে অভিযুক্ত সুপারভাইজার ও আমাদের নিয়ে বসার কথা ছিল। কিন্তু কৌশলে তাঁরা বিষয়টি এড়িয়ে যায়। যোগাযোগ করা হলে বাস মালিক একেক সময় একেক কথা বলেন। এছাড়া বাস মালিক শামসুদ্দিন ফরহাদ সুপারভাইজারকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়ে কোনো প্রমাণ দিতে পারেন নি বলে সাখাওয়াত জানান।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/18-04-2016/মইনুল হোসেন