muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

বিদেশ থেকে সার, চিনি ও প্রি-পেইড মিটার কিনছে সরকার

বিদেশ থেকে সার, চিনি ও প্রি-পেইড মিটার কিনছে সরকার

তিন দেশ কাতার, সৌদি আরব, কানাডা ও কাফকো থেকে ২৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়া ও এমওপি সারের সঙ্গে মালয়েশিয়া থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি কিনবে সরকার। এ ছাড়া বিদ্যুতের ৫ লাখ স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার সিস্টেমসহ কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বুধবার ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে শিল্প, বাণিজ্য এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের অনুমোদিত সার, চিনি ও স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার কেনার প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত জানান।

তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি মালয়েশিয়ার ব্রিজো মেরিন এসডিএন বিএইচডির (স্থানীয় এজেন্ট: জেআই ট্রেডার্স, ঢাকা) কাছ থেকে ৬৮ কোটি ৬৭ লাখ ৪৩ হাজার ১২৫ টাকায় কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি কেজি চিনির মূল্য পড়বে ৮৯ দশমিক ৫০ টাকা। আগে যা ছিল ৮৮ দশমিক ৮৪ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবি কর্তৃক আন্তর্জাতিকভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি মালয়েশিয়ার ব্রিজো মেরিন এসডিএন বিএইচডির (স্থানীয় এজেন্ট: জেআই ট্রেডার্স, ঢাকা) কাছ থেকে ৬৯ কোটি ২৮ লাখ ২৫ হাজার টাকায় কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি কেজি চিনির মূল্য পড়বে ৮৮ দশমিক ৭৪ টাকা, যা আগে ছিল ৮৮ দশমিক ৮৪ টাকা।

অতিরিক্ত সচিব সাইদ সার আমদানি সম্পর্কে আরও বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বিসিআইসি রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের মুনজাত থেকে ১৪তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ৯৯ কোটি ১১ লাখ ৮ হাজার ৫০৩ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অপর এক প্রস্তাবে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে ১৫তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার ৫০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ২০তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ৯৫ কোটি ২৫ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৩ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত সচিব জানান, কৃষি মন্ত্রণালয় আজকে এমওপি সার কেনার তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে বিএডিসি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে প্রথম লটে ৫০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার ২৩৭ কোটি ৬৭ লাখ ৬১ হাজার ৬৯৫ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় লটে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন ৫০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার ২৩৭ কোটি ৬৭ লাখ ৬১ হাজার ৬৯৫ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অপর এক প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর ওসিপব এসএ থেকে দ্বিতীয় লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার ২৩৯ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৮০০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার কেনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ৫ লাখ স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার সিস্টেমসহ যৌথভাবে জেভিসিএ অব ওসিইউলিন টেক বিডি লিমিটেড এবং এসকিউ ওয়্যার অ্যান্ড কেবল কোম্পানি লিমিটেড থেকে ১ হাজার ২৩৫ কোটি ১৩ লাখ ২২ হাজার ৫০৩ টাকায় কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক যৌথভাবে এসকিউ ট্রেডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়রিং এবং ওসান গ্রুপ লিমিটেড থেকে ৩০ কোটি ৫৮ লাখ ৭৫ হাজার ৮০০ টাকায় ১০ হাজার সিটি/পিটি রেটেড অনলাইন থ্রি-ফেইজ স্মার্ট মিটার সিস্টেমসহ টার্ন কী ভিত্তিতে কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় ২০ মেগাওয়াট (এসি) সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে জুয়েলস পাওয়ার লিমিটেডের ২০ বছর মেয়াদে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০ দশমিক ৬৯ টাকা হিসাবে ২০ বছরে ব্যয় হবে ৬৯৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। এ প্রস্তাবটিও এসেছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে।

এ ছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় ৪৪ মেগাওয়াট (এসি) সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে কনসোর্টিয়া অব জিয়ানগুস ইটারান কোম্পানি লিমিটেড, লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং ফুয়াদ স্পিনিং মিল লিমিটেডের সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদে নো ইলেকট্রিসিটি, নো-পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০ দশমিক ৭ টাকা হিসাবে ২০ বছরে ব্যয় হবে ১ হাজার ৫২৬ কোটি ৪ লাখ টাকা।

Tags: