কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে নাতী শফিকুল ইসলামের (৩০) সিএনজি অটোরিক্সার চাপায় দাদী রাজ বানু (৮৫) নিহত হয়েছেন। শনিবার (২২ এপ্রিল) বিকালে এ ঘটনা বলে করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ মোঃ শামছুল আলম সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
নিহত রাজ বানু উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের সাতারপুর গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর স্ত্রী।
অভিযুক্ত সিএনজি চালক একই এলাকার আব্দুল হাইয়ের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সাতারপুর গ্রামের আব্দুল হাই এর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩০), রফিকুল ইসলাম (২৫), আশিক (২৩) এবং একই গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মামুন (২৫), মাছুম (২২), হুমায়ূন (২০) ছোট বাচ্চাদের জুতা নিয়ে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে সংঘর্ষ থামিয়ে যেহেত আজ ঈদের দিন তাই আগামীকাল বিষয়টি মিমাংসা করা হবে বলে উভয়পক্ষকে শান্ত করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ উদ্দীন কনক।
একইদিন বিকালে সাতারপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনের রাস্তায় লাঠিশুটা নিয়ে উভয়পক্ষ পূনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে আব্দুল হাই পক্ষের শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও আশিক আহত হয়ে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে সিদ্দিক পক্ষের মামুন, মাছুম ও হুমায়ূন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের এক ফাঁকে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে সিএনজি নিয়ে বের হলে সিএনজির ধাক্কায় রাজ বানু গুরুতর রক্তাক্ত আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শহীদ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। এছাড়াও সংঘর্ষ চলাকালে রাজ বানুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের উপর।
জানা যায়, অভিযুক্ত আব্দুল হাই ও সিদ্দিক মিয়া নিহত রাজ বানুর সন্তান।
পুলিশ জানায়, ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে হাজির হই। ঘটনার সকল আলামত সংগ্রহ করি। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।