বাংলাদেশকে ৩৩০০ হর্স পাওয়ারের ২০টি ডিজেল চালিত ব্রডগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) অনুদান হিসেবে দিয়েছে ভারত। এসব লোকমোটিভের এক্সেল লোড ১৯.৫ টন। অনুদানের লোকমোটিভের গড় বয়স হবে ৩ থেকে ৬ বছর।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এসব লোকমোটিভ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে ভারত।
ইঞ্জিন হস্তান্তরের এ আনুষ্ঠানিকতায় বাংলাদেশ রেলভবনে থেকে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এবং ভারত থেকে দেশটির রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
রেলভবন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। এ সময় উভয় দেশের রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের দর্শনা এবং ভারতের গেদে অংশে হস্তান্তর অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের, আত্মার। স্বাধীনতা অর্জনে ভারতে অবদান আমরা কখনো ভূুলিনি, ভুলবে না। ভারত আমাদের উন্নয়নে সহায়ক। এলওসি অর্থায়নে বহু উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। রেল উন্নয়নে ভারতের ভূমিকাও অনন্য। ভারত এ পর্যন্ত ৩০ লোকোমোটিভ বিনামূল্যে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে দিয়েছে, যা বিশ্বে অনন্য-অসাধারণ। আমরা তাদের কাছে ঋণী হয়ে থাকলাম।
বাংলাদেশ ও ভারতের দুই রেলমন্ত্রীদের মধ্যে গত বছরের ১ জুলাই অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ রেলওয়েকে ২০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ অনুদান হিসেবে প্রদানের বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়।
ওই বছরের ২৯-৩১ আগস্ট ভারতের নয়াদিল্লির রেলভবনে অনুষ্ঠিত আন্তঃসরকার রেলওয়ে (আইজিআরএম) সভায় বাংলাদেশ রেলওয়েকে ২০টি ব্রডগেজ লোকমোটিভ অনুদান হিসেবে দেওয়ার বিষয়ে দেশটির সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে এসব লোকমোটিভ এলো।
ভারত সরকার গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই লোকোমোটিভগুলো বুঝে নেওয়ার অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ রেলওয়েকে।
এর আগেও ২০২০ সালে ভারত থেকে ১০টি ব্রডগেজ লোকমোটিভ অনুদান হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেসব লোকমোটিভ বর্তমানে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের রুটে চলাচল করছে।