ইরান সফলভাবে দুই হাজার কিলোমিটার পাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরাইল ও মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম।
ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার বরাত দিয়ে এমন খবর দিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা’ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার দুই দিন পরই এমন ক্ষেপণাস্ত্র সামনে আনল ইরান।
খবরে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি রয়েছে ইরানের। দেশটি বলেছে, তাদের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র অত্র অঞ্চলে ইসরাইল এবং মার্কিন ঘাঁটিতে পৌঁছাতে সক্ষম।
প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরোধিতা সত্ত্বেও নিজের ‘প্রতিরক্ষামূলক’ ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আরও উন্নত করার ঘোষণা দিয়েছে তেহরান।
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানি বলেছেন, ‘ইরানের শত্রুদের প্রতি আমাদের বার্তা হলো- আমরা আমাদের দেশ ও অর্জনকে রক্ষা করব। আমাদের বন্ধুদের প্রতি আমাদের বার্তা হলো- আমরা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় সাহায্য করতে চাই।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি যে ফুটেজ সম্প্রচার করেছে তাতে দেখা গেছে, দেশটির খোরামশাহর ৪ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি আপগ্রেড সংস্করণের পরীক্ষা চালানো হয়েছে। যা ২০০০ কিলোমিটার পাল্লার এবং ১৫০০ কেজি ওয়ারহেড বহনে সক্ষম।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ‘খাইবার’ নামে ডাকা হয়। ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুসলিম যোদ্ধাদের দখল করা খাইবার দুর্গের নামে এটির নামকরণ করা হয়েছে।