রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে (৬৬) পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে চাঁদকে আদালতে হাজির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। তবে শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, পুঠিয়া থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে দায়ের হওয়া মামলায় চাঁদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকিদাতা’ আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তার করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ। ভেড়িপাড়া-কোর্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বেশ কয়েকদিন আত্মগোপনে থাকার পর তিনি প্রাইভেটকারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার আনিসুর রহমান। চাঁদকে গ্রেপ্তারের পর আরএমপি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরএমপি কমিশনার বলেন, ‘শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। প্রাইভেটকারে বিএনপি নেতা চাঁদ পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ সময় চেকপোস্টে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।’
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ১৯ মে রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল বিএনপির। রাজশাহীর পুঠিয়ার কর্মসূচিতে আবু সাঈদ চাঁদ অসংখ্য মানুষের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আমরা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাই। আমাদের কাছে তথ্য ছিল তিনি আত্মগোপন চলে যাচ্ছেন। তাই আমরা বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসাই। পুলিশের চেকপোস্টে চাঁদ ধরা পড়েন।’
গত ১৯ মে বিএনপির একটি কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। হুমকির ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই ভিডিওর বক্তব্যে আবু সাঈদ চাঁদকে বলতে শোনা যায়, ‘আর ২৭ দফা ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য যা যা করার দরকার আমরা করব।’ এ ঘটনার পর বিভিন্ন জেলায় চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।