muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা-আইস নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ

মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা-আইস নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের টেকনাফে শেষ হয়েছে। সম্মেলনে মিয়ানমার থেকে আসা ভয়ংকর মাদক ইয়াবা ও আইস বন্ধ না হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

সম্মেলনে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব। অপরদিকে, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হাটেট লুইনের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের মায়ানমার প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ও বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ফলপ্রসূ এবং বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে পাচারের বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিকে তাদের সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়টি আরও জোরদার করার আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে মিয়ানমার প্রতিনিধিদল আশ্বস্থ করেন।

এছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস দমন ও দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহতকরণ, মিয়ানমার কর্তৃক সীমান্তে আইইডি স্থাপন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত চুক্তি-১৯৮০ অনুযায়ী অসতর্কতা ও ভুলবশত অথবা ঝড়ের কবলে পড়ে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশের ফলে আটক করা বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত ফেরত প্রদানের বিষয়টি ত্বরান্বিত ও সহজীকরণ বিষয়ে আলোচনা হয়।

সীমান্তের নানাবিধ সমস্যা নিরসনকল্পে উভয় দেশের বর্ডার লিঁয়াজো অফিসের (বিএলও) কার্যক্রম পূর্ণরূপে সক্রিয়করণ, উভয় বাহিনীর মধ্যে ত্বরিত যোগাযোগ স্থাপনে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে যৌথ সমন্বিত টহল পরিচালনা ও পিলার পরিদর্শন ইত্যাদি বিষয়ের ওপর বিস্তারিত ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

সম্মেলনে সীমান্তবর্তী জনসাধারণের নিরাপত্তা, সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস নির্মূল, মানব ও মাদক পাচার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করার লক্ষ্যে উভয় দেশ স্ব স্ব সীমান্তরক্ষী বাহিনী একসঙ্গে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

Tags: