মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ- পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামী ভাবধারার লেখা বাদ দিয়ে মুসলিম চেতনা পরিপন্থী লেখা পাঠ্যভূক্ত করার অভিযোগে জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে হেফাজতে ইসলাম। শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে হেফাজতের কয়েক হাজার নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমীসহ হেফাজত নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
আল্লামা কাসেমী বলেন, ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে শিরক ও হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা যুক্ত করা হয়েছে। মুসলমানদের ঈমান আকিদা শিক্ষাকে নস্যাৎ করতে ‘শিক্ষানীতি ২০১০’-এর পর শিক্ষা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শিক্ষানীতি বাতিল ও প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্কুল-কলেজের সিলেবাস থেকে নবী (আ.), রাসুল (স.) ও সাহাবাদের জীবনীসহ ইসলামী ভাবধারায় রচিত যেসব প্রবন্ধ-নিবন্ধ-কবিতা বাদ দেয়া হয়েছে সেগুলি অবিলম্বে সংযোজন করতে হবে।
এ দাবি না মানা পর্যন্ত হেফাজতে ইসলাম রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দেন আল্লামা কাসেমী।
সমবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক আব্দুল করিম, মাওলানা মুজিবুর রহমান, হেফাজতের ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি ফখরুল ইসলাম, যুগ্ম-সদস্য সচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যাত্রাবাড়ি জোনের নেতা মুফতি শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পল্টন মোড় ও দৈনিকবাংলা ঘুরে ফের উত্তর গেটে শেষ হয়। বিক্ষোভ শেষে দোয়া-মোনাজাত করেন নূর হোসেন কাসেমী।
এদিকে হেফাজতের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বায়তুল মোকাররম ও আশপাশের এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়ন করা হয়। পুলিশ সদস্যরা গাড়ি ভাংচুর ও নাশকতা প্রতিহত করতে রায়টকার, জলকামান, এন্টিপারসোনেল কার নিয়ে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।
পল্টন থানার ওসি মোর্শেদ আলম জানান, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করায় পুলিশ কোনো বাঁধা দেয়নি।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/23-04-2016/মইনুল হোসেন