চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেডকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে ১৪ বছর পর ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মোহামেডানের পাঁচ শটের মধ্যে একটি মিস হয় আর আবাহনীর প্রথম চারটির মধ্যে দুটি মিস করে৷ মোহামেডানের বদলি গোলরক্ষক বিপু দুটি সেভ করেন৷
মূল ম্যাচে ৩-৩ গোলে সমতা থাকার পর খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। সেখানে দুদল আরও একটি করে গোল করলে ৪-৪ ব্যবধানের সমতার পর ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়।
সবশেষ ২০০৯ সালে এই আবাহনীকেই টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহামেডান। যেখানে আসরটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১বার ট্রফির স্বাদ পেল সাদা-কালোর দল। ১২বার জিতে শীর্ষে আবাহনী।
আজ মঙ্গলবার কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে ম্যাচের প্রথমার্ধে আবাহনী ২-০ গোলে এগিয়ে যায়৷ খেলার ১৫তম মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে আবাহনী লিড নেয়। এরপর ৪৩তম মিনিটে কোস্টারিকার দানিয়েল কলিন্দ্রেসের গোলে আবাহনী ২ গোলে এগিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতি গেছে তারা।
দুই গোলে পিছিয়ে থাকা মোহামেডান দ্বিতীয়ার্ধের ১৪ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল শোধ দেয়। দলের মালির অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতের প্লেসিং শটে আবাহনীর গোলরক্ষককে পরাজিত করেন৷ মিনিট চারেক পর আরেকটি দুর্দান্ত গোল করে স্টেডিয়াম জাগিয়ে তুলেন সুলেমান।
তবে মোহামেডান সমতা আনার মিনিট পাঁচেক পর আবাহনী আবার এগিয়ে যায়৷ ৬৫ মিনিটে নাইজেরিয়ান এমেকার গোলে আবাহনী ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়৷ কিন্তু ৮৩তম মিনিটে মোহামেডান আবার সমতায় ফেরে ৷ এবার সুলেমান দিয়াবাত হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। বা প্রান্ত থেকে কর্ণারে দিয়াবাতে হেডে গোল করেন।
নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ গোলে সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে লিড নেয় মোহামেডান। গোলদাতা সেই সুলেমান দিয়াবাতে। বক্সের মধ্যে আবাহনীর ডিফেন্ডার তাকে ফাউল করলে রেফারি আলমগীর সরকার পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পেনাল্টি থেকে গোল করেন দিয়াবাতে। ম্যাচে প্রথমবারের মতো মোহামেডান এগিয়ে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনী রহমতের গোলে সমতা আনে। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন রহমত। ম্যাচ ৪-৪ গোলের সমতায় টাইব্রেকারে গড়ায়।