কিশোরগঞ্জের নিকলীতে বাবার ওপর প্রতিশোধ নিতে তার শিশু সন্তানকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর ফুফাসহ দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার রসুলপুর বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত লাবিব ওরফে রাব্বি (৫) উপজেলার কুর্শা মাইজপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শিশুটির ফুফা ও মামলার প্রধান আসামি দিদারুল ইসলাম পায়েল এবং তার সহযোগী আব্দুল কাইয়ুম তনয় খান। এদের মধ্যে দিদারুল নিকলীর ছাতিরচর গ্রামের মো. তৈয়ব আলীর ছেলে এবং আব্দুল কাইয়ুম কুর্শা মাইজহাটি গ্রামের জমসেদ খানের ছেলে।
আজ দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, কিছুদিন আগে প্রধান আসামি দিদারুল ইসলাম পায়েলের সঙ্গে নিহত রাব্বির ফুফুর তালাক হয়। এ ঘটনার আগে রাব্বির বাবা পায়েলকে মারধর করেন। মারধরের প্রতিশোধ নিতে রাব্বিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
এর আগে গত ১৯ মে সন্ধ্যার আগে রাব্বি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। এর পরদিন দুপুরে কুর্শা মাইজপাড়া গ্রামের একটি পতিত বাড়ির চৌকির নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে নিকলী থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা ও গুমের মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহানের নেতৃত্বে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে আসামিদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আসামিদের গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী নিহত রাব্বির একটি প্লাস্টিকের খেলনা গাড়ি ও বল উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) সুজন চন্দ্র সরকার, নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।