muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ

আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।

আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়।

হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সড়কের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বেলা ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় উভয়মুখী লেনে যান চলাচল বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বরাতে জানা গেছে, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিল করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ। তারা মুখোমুখি অবস্থান নিলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর করেন। ফলে মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক কমিটির সদস্য এম তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম, সাবেক পৌর মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহ জালাল মজুমদারসহ পাঁচ থেকে ছয়টি পক্ষের নেতা-কর্মীরা আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে চৌদ্দগ্রাম বাজারে সমাবেশের ডাক দেয়। এতে সকাল থেকে সমাবেশ স্থলে লোকজন জড়ো হতে থাকে। একই সময় চৌদ্দগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের অনুসারীরাও জড়ো হতে থাকেন। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

এসময় মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ও দশীয় অস্ত্র দিয়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা তাণ্ডব চালান। তারা সড়কে অবস্থানরত কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এম তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম বলেন, ‘অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার সময় আমার উপর হামলা চালিয়েছে তারা। আমরা এক সপ্তাহ আগে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি, আমাদেরকে প্রতিহত করতে তারাও পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে। আমি মনে করি তারা জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’

চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের ধাওয়ায় চৌদ্দগ্রাম বাজার থেকে তারা পালিয়ে গেছে। তারাই পথে পথে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আমাদের কর্মসূচিকে বানচালের চক্রান্ত করেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে মুজিবুল হকের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লা বাবুলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ওরা জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এই ধরণের কর্মকাণ্ড করছে। চৌদ্দগ্রামের মানুষ তাদেরকে প্রতিহত করেছে। চৌদ্দগ্রামে মুজিবুল হকের বিকল্প নেই।’

হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘এরই মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ কাজ করছে। আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’

Tags: