কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পৃথক ঘটনায় নারী, শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবক, বজ্রপাতে এক শিশু ও গলায় ফাঁস দিয়ে এক প্রতিবন্ধী নারী মারা যান। মঙ্গলবার (৬ জুন) উপজেলার সালুয়া ও ফরিদপুর ইউনিয়নে পৃথক তিনটি ঘটনা ঘটে।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সালুয়া ইউনিয়নে দক্ষিণ সালুয়া গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইয়াসিন মিয়া ওরফে সুজন (২১) নামে এক যুবক মারা যান। তবে পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাদের পরিবারের সঙ্গে পাশের কালাচাঁন মুনশি দীর্ঘদিনের জায়গা-জমির বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে ফরিদপুর ইউনিয়নের নাপিতের চর পূর্বপাড়া গ্রামে বজ্রপাতে শিশু আর্জিনার মৃত্যু হয়। এ সময় সঙ্গে থাকা চাচাতো বোন সিনথিয়া (১২) ও দাদি মোস্তাফা বেগম (৭০) গুরুতর আহত হন।
অন্যদিকে একই সময়ে একই ইউনিয়নের ফরিদপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় মাসুদা বেগম নামের এক দৃষ্টি ও মানসিক প্রতিবন্ধী নারী নিজ বসতঘরে সিলিংয়ের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন।
ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ও আত্মহত্যার ঘটনায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বজ্রপাতের মারা যাওয়া শিশুর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।