মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ- কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে একটি করে কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপন করে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল কৃষিব্যবস্থা গড়ার এক বিশাল উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। দেশজুড়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর স্থাপিত কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র, ক্লাব, কৃষক সমিতি গড়ে তোলা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব তথ্য জানান।
সরকারী দলের এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এর মধ্যে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, বৈচিত্র্যতা আনয়ন, উচ্চ মূল্যের ফসল উৎপাদন, শস্য বিমা এবং জাতীয় পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজ কৌশলের সঙ্গে সমন্বয় এর উপর গুরুত্ব দিয়ে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি অতীতের জীবিকা নির্বাহের জন্য কৃষি ও বিদ্যমান আধা জীবিকার কৃষিকাজ থেকে কৃষি খাতকে বাণিজ্যিকীকরণে উন্নীত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মানিকগঞ্জ জেলায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৯৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউরিয়া সারে ৩৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টনে ৪৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা, টিএসপি সারে ৮ হাজার ২০০ মেট্রিকটনে ১৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, এমওপি সারে ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিকটনে ১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং ডিএপি সারে ৮ হাজার মেট্রিকটনে ১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/28-0-2016/মইনুল হোসেন