সুনামগঞ্জ, নওগাঁর পত্নীতলা ও পোরশায় বজ্রপাতে চারজন নিহত হয়েছে। শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
নওগাঁ: পত্নীতলা ও পোরশায় বজ্রাঘাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে নওগাঁর বেশ কয়েকটি উপজেলায় ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রাঘাত শুরু হয়। এতে পত্নীতলা উপজেলার মহারন্দী ও পার্শ্ববর্তী ফতেপুর গ্রামে ফসলের মাঠে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে নিহত হয় তিনজন কৃষক।
তারা হলেন, মহারন্দী গ্রামের ছয়ফুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে মাসুদ রানা, ফতেপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মোতাহার হোসেন ও আব্দুস সামাদের ছেলে খাদেমুল ইসলাম।
এদিকে একই সময় জেলার সোহাগদি গ্রামে মাঠের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আজিজুল হক নামে আরও এক কৃষকের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর নিহতদের পরিবারে সহানুভূতি জানাতে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গিয়েছিলেন।
সুনামগঞ্জ: বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে জেলার বিশ্বম্ভরপুর ও দিরাই উপজেলায় তাদের মৃত্যু হয়। প্রাণ হারানো তিনজন হলেন- বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার জিনারপুর গ্রামের সেলিম মিয়া ও জয়নাল মিয়া এবং দিরাই উপজেলার শ্যামারচর গ্রামের আব্দুল মালেক।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ধোপাজান চলতি নদীতে বালু উত্তোলনের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। ওই সময় বজ্রপাতে জিনারপুর গ্রামের সেলিম মিয়া ও জয়নাল মিয়ার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া দিরাই উপজেলার শ্যামারচর গ্রামের আব্দুল মালেক হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন।
সলুকাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম সিদ্দিকী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমার ইউপিতে দুইজন মারা গেছে, বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মকসুদ চৌধুরী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে এ জেলায় টানা বৃষ্টি ও বজ্রপাত হচ্ছে। তাই হাওর বা উন্মুক্ত স্থানে যারা কাজ করেন তাদেরকে আপাতত এমন কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে।
নিহতদের পরিবারকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।