প্রতিবার রোজার সময় নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা যায়। কিন্তু এবার রোজার বেশ আগেই গরুর মাংস ও ডালের দাম বেড়েছে। বাজার এভাবে নিয়ন্ত্রণহীন থাকলে রমজানে গরু মাংসের দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন মাংস ব্যবসায়ীরা।
খুচরা বাজারে আমদানি করা বড় দানার মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০-১১৫ টাকা। দেশি মসুর ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৫৫ টাকা, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৫০ টাকায়। আমদানি করা নেপালি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকায়, গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ১৪০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি ডালে দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। আর প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেছেন, ‘রমজান মাসে সিটি করপোরেশন থেকে মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু গত রমজানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম এনামুল হকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয়নি। এরপর থেকে মাংসের বাজারে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। যে যার ইচ্ছেমতো মাংসের দাম নির্ধারণ করছে।’
তিনি বলেন, ‘এ অনিয়ন্ত্রিত অবস্থা চলতে থাকলে রমজানে মাংসের প্রতিকেজি দাম ৫০০ টাকা হবে।’
মাংসের দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আগে ভারত থেকে গরু আনার সময় সীমান্তে ১ থেকে ২ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হতো। এখন তার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫-৬ হাজার টাকা।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পূর্বের বছরগুলোতে রমজানের বেশ আগে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালেও এখন তা না করে মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হওয়ার আগেই দাম বাড়িয়ে দেয়। অজুহাত হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘পণ্যের দাম রমজান উপলক্ষে বাড়েনি। এগুলোর দাম অনেক আগেই বেড়েছে।’
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/29-04-2016/মইনুল হোসেন