নওগাঁ ও টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে নওগাঁর রানীনগরে বজ্রপাতে সহোদর দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে মৃত্যু হয়েছে দুই ব্যক্তির।
নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, রানীনগরে বজ্রপাতে সহোদর দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের জালাবাদ গ্রামের কবিরাজ পাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিয়াদ হোসেন (১০) ও রিফাত (৪) ওই গ্রামের লাভলু ফকিরের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই ভাই রিয়াদ হোসেন ও রিফাত বাড়ির বারান্দায় খেলা করছিল। তাদের মা রান্না ঘরে সবজি কাটছিলেন। এ সময় আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন ছিল ও হালকা বাতাস হচ্ছিল। ওই মুহূর্তে হঠাৎ তাদের বাড়ির পাশের ইউক্যালিপটাস গাছে বজ্রপাত হলে শিশু দুটি স্পৃষ্ট হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই ভাইয়ের।
রানীনগর থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজা জানান, বজ্রপাতে দুই শিশুর মৃত্যুর কথা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার উত্তর পাথালিয়া ও বাইশকাইল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার নগদাশিমলা ইউনিয়নের বাইশকাইল গ্রামের মৃত জহুর আলীর ছেলে ফজলুল হক (৫০) এবং নগদা শিমলা ইউনিয়নের উত্তর পাথালিয়া গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে আবুল কাশেম (৪০)।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বাইশকাইল এলাকায় বৃদ্ধ ফজলুল হক আকাশে মেঘ ও বজ্রপাত শুরু হলে বাড়ির পাশের ফসলি জমি থেকে গরু আনতে যান। এ সময় বজ্রপাতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। একই সময় উত্তর পাথালিয়া এলাকার আবুল কাশেম বাড়ির পাশের ফসলি জমিতে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিন মারা যান। পরে একজন মাঠে গরু আনতে গিয়ে কাশেমকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গোপালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন অংশে ব্যাপক বজ্রপাত হয়েছে। এতে পৃথক দুইটি স্থানে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের স্বজনরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।