নারী-পুরুষের লিঙ্গবৈষম্য নিরসন সূচকে টানা নবমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের তুলনায় এবার বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে ১২ ধাপ। গত মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশ পেয়েছে ৫৯তম স্থান।
২০২২ সালের ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ’ শীর্ষক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭১তম। তার আগের বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৬৫তম।
চলতি বছর ডব্লিউইএফের লিঙ্গবৈষম্য নিরসন সূচকে ১৪৬টি দেশ স্থান পেয়েছে। এসব দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। ২০১৪ সাল থেকে এই অবস্থান ধরে রেখেছে তারা।
অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়ন- এই চার মাপকাঠির ভিত্তিতে প্রত্যেক বছর এ সূচক প্রকাশ করে ডব্লিউইএফ। ২০০৬ সাল থেকে এই সূচক প্রকাশ হয়ে আসছে। এ বছরের সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় লিঙ্গবৈষম্য নিরসনে সবচেয়ে বেশি ভালো ফল করছে বাংলাদেশ, ভুটান এবং শ্রীলংকা।
ডব্লিউইএফের সূচকে প্রত্যেকটি দেশের অবস্থান নির্ধারণ করা হয় ১ স্কোরের ভিত্তিতে। কোনো দেশ ১ স্কোর পেলে সেই দেশে নারী-পুরুষ সমঅধিকার শতভাগ, আর শূন্য পেলে একেবারে অধিকারবঞ্চিত হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
সূচকে এ বছর বাংলাদেশের মোট স্কোর শূন্য দশমিক ৭২২, যা গত বছর ছিল শূন্য দশমিক ৭১৪। ২০০৬ সালের প্রথম সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ছিল শূন্য দশমিক ৬২৭।
এবারের সূচকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আইসল্যান্ড। দেশটির স্কোর শূন্য ৯১২। আর সূচকের একেবারে তলানিতে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান। তাদের স্কোর শূন্য দশমিক ৪০৫।
আইসল্যান্ডের পরই শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আছে নরওয়ে (দ্বিতীয়), ফিনল্যান্ড (তৃতীয়), নিউজিল্যান্ড (চতুর্থ), সুইডেন (পঞ্চম), জার্মানি (ষষ্ঠ), নিকারাগুয়া (সপ্তম), নামিবিয়া (অষ্টম), লিথুয়ানিয়া (নবম) ও বেলজিয়াম (দশম)।