তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতোমধ্যে গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও মোদির মধ্যে বৈঠক হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ দুই নেতার মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ ছাড়া মোদির এ সফরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ গবেষণা, সেমিকন্ডাক্টর এবং খনিজ সম্পদ নিয়ে বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর করা হয়। দুই নেতার বৈঠকের পর এক যৌথ ঘোষণায় এসব বিষয় জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জো বাইডেন এবং মোদির মধ্যে দুই ঘণ্টা একান্ত বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণা প্রকাশ করা হয়। বৈঠক শেষে জো বাইডেন এবং নরেন্দ্র মোদি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, আমেরিকা এবং ভারতের ‘ডিএনএ'র’ মধ্যে গণতন্ত্র রয়েছে। এ সময় বাইডেন ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রশংসা করেছেন।
এ সময় মোদি সরকারের আমলে ভিন্ন মতাবলম্বী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর দমন-পীড়নের বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো যেসব অভিযোগ তুলেছে সেটি নিয়ে বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়।
এ নিয়ে বাইডেন বলেছেন, ভারতের সাথে যুক্তরাষ্ট্রর সম্পর্ক যে জায়গায় অবস্থান করছে, চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বিষয়টি সে রকম নয়। এর মৌলিক কারণ হচ্ছে, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারষ্পরিক শ্রদ্ধা হচ্ছে দুই দেশই গণতান্ত্রিক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় ডিনারের অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, দুই মহান জাতি, দুই মহান বন্ধু এবং দুই বড় শক্তি, চিয়ার্স।
এর জবাবে নরেন্দ্র মোদি বলেন, আপনি মৃদুভাষী, কিন্তু সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে আপনি বেশ দৃঢ়। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। মোদি তার নয় বছরের শাসনামলে কখনোই এ ধরণের সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেননি।