muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

পুতিন এখন মস্কো না অন্য কোথাও

পুতিন এখন মস্কো না অন্য কোথাও

রুশ ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের বিদ্রোহ ঘিরে উত্তপ্ত সমগ্র রাশিয়া। রাজধানী মস্কো অভিমুখে রওনা হয়েছে ওয়াগনার যোদ্ধারা, এমন খবরও দিচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলো। এমনকি মস্কোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। তবে দেশের এমন সংকটকালে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কোথায় অবস্থান করছেন, তা জানতে উদগ্রীব সাধারণ মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনায় মুখরও হয়েছেন তারা।

শনিবার এই জল্পনার ব্যাপারে পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বার্তা সংস্থা তাসকে বলেন, ‘পুতিন মস্কোয় আছেন এবং ক্রেমলিনে বসে কাজ করছেন।’

এদিকে, রাশিয়ার এই প্রেসিডেন্ট ইতোমধ্যে বিশেষ বিমানে করে মস্কো ত্যাগ করেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুতিনের অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ফ্লাইটরাডার ট্র্যাকিং সার্ভিসের বরাতে নেটিজেনদের কেউ কেউ বলছেন, দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের উদ্দেশে মস্কো ছেড়েছে পুতিনের বিশেষ বিমান। এরপর উত্তর-পশ্চিমে টিভের শহরের কাছে ট্র্যাকিং সার্ভিস থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় বিমানটি। তবে সেই বিমানে পুতিন ছিলেন কিনা তা জানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এ ছাড়া মস্কোর লেক ভালদাইতের বাড়িতে পুতিন অনেক সময় পার করে থাকেন। তবে সেখানেও তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করেন না।

এর আগে গতকাল শুক্রবার এক অডিও বার্তায় রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর নেতাদের ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করার হুমকি দেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। তিনি বলেন, তারা (রুশ বাহিনী) আমাদের বিভিন্ন সেনাশিবিরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় আমাদের অনেক সহযোদ্ধা মারা গেছেন।

তিনি বলেন, আমরা মস্কো অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের বাহিনীর ২৫ হাজার সদস্য এ অভিযানে যোগ দিয়েছে। যদি কেউ আমাদের প্রতিরোধ করতে চায়, সে ক্ষেত্রে আমরা সেটা হুমকি হিসেবে বিবেচনা করব এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা ধ্বংস করব।

প্রিগোজিনের এ ঘোষণার পর রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের একটি সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানায় ওয়াগনার গ্রুপ।

এ দিকে এ বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িতদের সাজার মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, যা কিছু ঘটছে, তা বিশ্বাসঘাতকতা। এটি দেশের জনগণের পিঠে ছুরি চালানোর শামিল।

প্রিগোজিনের রাশিয়ার সামরিক নেতাদের উৎখাতের হুমকি দেয়ার পর শনিবার (২৪ জুন) জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন পুতিন।

Tags: