চট্টগ্রামের সিপ্লাসহ অনুমোদনহীন আইপি টিভির ৪টি অফিসে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় অফিসগুলো থেকে সংবাদ প্রচারকাজে ব্যবহৃত ক্যামেরাসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।
রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরের ওয়াসা মোড়, লালখান বাজার, জিইসি মোড় ও সুবর্ণা আবাসিক এলাকায় জেলা প্রশাসনের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা যায়, ২০১৭ সালে সরকার অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১৭ চালু করলে সব অনলাইন গণমাধ্যমকে নিবন্ধন নিতে বলা হয়। পরবর্তীতে অনিবন্ধিত আইপি টিভি ও অনলাইন পোর্টাল সংবাদ প্রচার করতে পারবে না বলে প্রজ্ঞাপন জারি করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এই প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে সরকার।
নগরীর ওয়াসার মোড়স্থ ‘সিপ্লাস টিভি’ ও লালখান বাজারস্থ ‘দৈনিক অর্থনীতি’ ও ‘এসবি টিভি’ কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ। অভিযানে অনিবন্ধিত আইপি টিভিগুলোর ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ সকল যন্ত্রপাতি জব্দ করে পুরো কার্যালয় সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। একইসাথে বিদ্যুৎ, ওয়াইফাই ও সার্ভার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, নগরের জিইসি মোড়ে অবস্থিত সি ভিশন এবং সুবর্ণা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ‘টোয়েন্টিফোর টিভি’ নামে দুই আইপি টিভির অফিসে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের অপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসা। অভিযান শেষে ভুঁইফোড় এই দুই আইপি টিভির অফিসের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে অফিস দুটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ বলেন, সিপ্লাস টিভি, দৈনিক অর্থনীতি ও এসবি টিভি কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি। কথিত আইপি টিভিগুলোর যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রামের সব অনিবন্ধিত আইপি টিভিতে অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের কঠোর নির্দেশ রয়েছে অনিবন্ধিত আইপি টিভি বন্ধ করার বিষয়ে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসা বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার অনুযায়ী অবৈধভাবে আইপিটিভির সংবাদ প্রচার বন্ধে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা ‘সি ভিশন নিউজ’ এবং টোয়েন্টিফোর টিভি অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছি। তারা নিবন্ধন ছাড়াই যেহেতু প্রচারকাজ চালাচ্ছে তাই তাদের অফিস সিলগালা করে দিয়েছি আমরা। এখানকার যিনি মালিক রাজন প্রসাদ বড়ুয়া তাকে আমরা একাধিবার ৪-৫টি নম্বরে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।