জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ২৬ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নূর ইসলাম এ রায় দেন।
জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- নিহত আবুল হোসেনের স্ত্রী পাঁচবিবি উপজেলার কুটাহারা গ্রামের ডলি বেগম, একই গ্রামের মৃত নিগমা উড়াওয়ের ছেলে সুরেন উড়াও, ধলু মণ্ডলের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান এবং দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের ফিরাজ উদ্দীনের ছেলে কাফা। এদের মধ্যে নিহতের স্ত্রী ডলি বেগম পলাতক রয়েছেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মটপাড়া গ্রামের ফয়েজের ছেলে আবুল হোসেনের সঙ্গে কুটাহারা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে ডলির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আবুল হোসেন তার শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। সেসময় পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। এরই মধ্যে ডলি মামলার তিন আসামির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে আবুল হোসেন জানতে পারায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
পরিকল্পনা মোতাবেক ২০০১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে আসামিরা শ্বাসরোধে আবুল হোসেনকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরের দিন তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে পাঁচবিবি থানা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক চিত্তরঞ্জন সরকার ২০০২ সালের ২১ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর আদালত আজ এই রায় দেন।