ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন। তবে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সারাদেশে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আজ বুধবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘যে কোনো ধরনের নাশকতা রোধে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে কোনো ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড যাতে না হয়, সে বিষয়ে সাইবার টিম কাজ করছে।’
অনলাইনের মাধ্যমে অপরাধীরা তৎপর রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সার্ভার মনিটরিং টিম রয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছে। অনলাইনে কেনাকাটাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের নজরদারি আছে।’ তবে যারা অনলাইনে কেনাকাটা করবেন, তাদের সর্তকতার সঙ্গে কেনাকাটা করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে সারা দেশে র্যাব কন্ট্রোল রুম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, মোবাইল পেট্রোল, চেকপোস্ট, সিসিটিভির মনিটরিংসহ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরার মাধ্যমে চারদিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। বিশেষ করে গ্রামের যারা যাচ্ছেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সড়ক, রেল ও নৌপথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। সম্প্রতি গাবতলীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘রাজধানী থেকে যারা বাড়িতে গেছেন তাদের বাসা-বাড়ি ও মার্কেটগুলোতেও নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিটের কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ মনিটরিং করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সেগুলোতে পোশাকধারীর সঙ্গে সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা কাজ করবে। প্রতি বছর কোরবানির পশু নিয়ে যেসব গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করে সেসব গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি করা হতো। কিন্তু এ বছর তেমন কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি।’