একসঙ্গে জন্ম নেয়া দোয়েল-কোয়েল ও ময়না-টিয়াকে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) পক্ষ থেকে ঈদ উপহার দেয়া হয়েছে। উপহার হিসেবে চার কন্যাকে ঈদের পোশাক, ফলমূল, মিষ্টি ও ঈদের সালামি দেয়া হয়।
বুধবার (২৮ জুন) দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের চার কন্যার বাড়িতে ঈদ উপহার নিয়ে যান জেলা প্রশাসক।
চার কন্যার পরিবার ঈদ উপহার পেয়ে বেজায় খুশি। জেলা প্রশাসক সপরিবারে হাজির হন দোয়েল-কোয়েল-ময়না-টিয়ার বাড়িতে। কন্যা শিশুদের সব ধরনের খোঁজ খবর নেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান কন্যা সন্তানের জন্মের পর তাদের নাম রাখেন। ডাক নামের পাশাপাশি তাদের মূল নামও রাখেন জেলা প্রশাসক।
ঈদকে রাঙিয়ে দিতে জেলা প্রশাসক ও তার সহধর্মিণী মেহেনাজ খান বাঁধন ঈদ উপহার নিয়ে হাজির হন। মাহবুল-কল্পনা দম্পতি জেলা প্রশাসকের ঈদ উপহার পেয়ে খুশি। পোশাক, ফলমূল, মিষ্টি ও ঈদের সালামি প্রদান করেন জেলা প্রশাসক ও তার সহধর্মিণী।
২০২৩ সালের ৯ মে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের মাহবুল-কল্পনা দম্পতির ঘর আলো করে একসঙ্গে আসে চার কন্যা সন্তান। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল রোডের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে চার কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান তাদের দেখতে যান বেসরকারি ক্লিনিকে। মাহবুল-কল্পনা দম্পতির অনুরোধে তাদের নাম রাখেন জেলা প্রশাসক দোয়েল-কোয়েল-ময়না-টিয়া। পরিবারটিকে নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন জেলা প্রশাসক।
চার কন্যার বাবা মাহবুল বলেন, আমাদের সন্তান জন্মের পর থেকেই ডিসি স্যার খোঁজ খবর রাখেন। সব ধরনের সহযোগিতা করছেন। ঈদ উপলক্ষে আমাদের বাড়িতে এসেছেন ঈদ উপহার নিয়ে সন্তানদের জন্য। ক্লিনিকে গিয়ে সন্তানদের নামও রাখেন। আমাদের মতো গরিব মানুষের পাশে থাকায় দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, একসঙ্গে জন্ম নেয়া চার কন্যার ঈদ যেন আনন্দময় হয় সে ব্যবস্থা করেছি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আমার পরিবার তাদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছে। তাদের জন্য ভালোবাসা থাকবে সব সময়। এ পরিবারটিকে একটি গাভি উপহার দেয়া হয়েছে কন্যাদের দুধের ব্যবস্থার জন্য।