পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে পাচার ঠেকাতে সারাদেশের ৩৭ জেলার সীমান্ত পথে সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবির পাশাপাশি সতর্ক রয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঈদের দিন থেকে আগামী ১৫ দিন এই নজরদারি করা হবে। সীমান্তবর্তী জেলার সড়কগুলোতে পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট বসানোর জন্য বলা হয়েছে। সীমান্ত অভিমুখে প্রতিটি ট্রাক, পিকআপসহ সকল যানবাহনে পুলিশি তল্লাশির আওতায় থাকবে। চামড়া পাচার রোধে বিজিবির পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে পুলিশ। এছাড়া টহল জোরদারসহ অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এর মধ্যে দিনাজপুরের হিলি ও আশপাশের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পশুর চামড়া পাচার ঠেকাতে কঠোর নজরদারির শুরু করেছে বিজিবি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রফিকুল ইসলাম।
এছাড়া যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত পথে সতর্কতা জারি করেছে ৪৯ ও ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। তাদের আওতাধীন সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বৃদ্ধি করা হয়েছে বিজিবির নজরদারি ও লোকবল। বন্দর এলাকাসহ স্থল ও রেলপথে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল ও খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর রহমান।
অন্যদিকে, কোরবানির ঈদের পর সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে নওগাঁ সীমান্তগুলোতে কড়া নজরদারি বসিয়েছে বিজিবি। বিজিবির পাশাপাশি তৎপর রয়েছে নওগাঁ জেলা পুলিশের সদস্যরাও। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ ১৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন ও নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশেদুল হক।
এর আগে বুধবার (২৮ জুন) দুপুরে রংপুর নগরীর সাগরপাড়া চিকলিপার্কের লেকভিউ বাসভবনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এরপরও ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের ঠকালে কাঁচা চামড়া রপ্তানির উদ্যোগ নেয়া হবে।
তবে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে এবার চামড়া পাচার হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন।