তবে এক হাজার নম্বরের লিখিত পরীক্ষার পরিবর্তে শুধু বহুনির্বাচনী প্রশ্ন-এমসিকিউ ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পাবেন নার্সরা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ কথা জানিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিৎ চৌধুরীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমেই প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। কোনোভাবেই এর ব্যত্যয় ঘটানোর সুযোগ নেই। অন্য কোনোভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তাদের চাকরিতে স্থায়ীকরণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
তবে নার্সদের দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে পাবলিক সার্ভিস কমিশন এক হাজার নম্বরের লিখিত পরীক্ষার শর্ত শিথিল করে শুধু বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সম্মতি দিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ৩ জুনের নার্স নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পাবলিক সার্ভিস কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং দেশের সব বেকার নার্স সহযোগিতা করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নার্সদের প্রতি আন্তরিকভাবে সংবেদনশীল ও সহানুভূতিশীল বলেই নার্সদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেছেন। তিনি দ্রুত ১০ হাজার নার্স নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
সরকার সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তিন হাজার ৬০০ নার্স নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি অর্থ বছরে আরও সাত হাজার নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে আরও তিন হাজার নার্স নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাতে বিপিএসসি’র মাধ্যমে নিয়োগ বাতিল এবং জেষ্ঠতার ভিত্তিতে নার্স নিয়োগের দাবিতে ধানমণ্ডিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসা ঘেরাও করেন বেকার নার্সরা।
আন্দোলনরত নার্সদের সরিয়ে দিতে রাত ৮টায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে শতাধিক নার্স আহত হন। তাদের মধ্যে ২৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত অন্য নার্সরা রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর পর বুধবার দিবাগত গভীর রাতে ধানমণ্ডি থানায় ঘেরাও কর্মসূচি পালনকারী ১৪০০ বেকার নার্সের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।