আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টির প্রবণতা কমে গেছে। আগামী কয়েক দিনে এই প্রবণতা আরও কমে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঈদের দিন কিছুটা বৃষ্টি হলেও এর পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের একটি অংশ বৃষ্টিহীন। সেখানে ভ্যাপসা গরমে কষ্ট পাচ্ছে মানুষ।
গক ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে। একই সময়ে ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৯১ মিলিমিটার। বরিশালের পটুয়াখালী ছিল বৃষ্টিহীন। চট্টগ্রাম বিভাগের বড় একটি অংশেও বৃষ্টি নেই।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, আগামী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে। ফলে এ সময় তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে এক নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।