বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে আব্দুল্লাহ আল বোলৌশির একমাত্র গোলে কুয়েতের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে কেউ গোল করতে না পারলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথম অর্ধের যোগ করা সময়ে বাংলাদেশের প্রতিরোধ ভাঙল। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা আব্দুল্লাহ আল বোলৌশিকে কড়া পাহারায় রাখতে পারেনি তপু। তার পায়ের ফাঁক দিয়েই শট নেন কুয়েতের এই ডিফেন্ডার। জিকো কিছু বুঝে উঠতে পারার আগেই বল দূরের পোস্ট দিয়ে জড়ায় জালে।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও কুয়েত। ম্যাচের দুই মিনিটের মাথায়ই আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি শেখ মোরসালিন। তবে প্রথমার্ধজুড়ে রক্ষণে দৃঢ়তা দেখিয়েছে বাংলাদেশ। কুয়েতকে কোনো সুযোগ দেয়নি তারা।
সপ্তম মিনিটে আক্রমণে ওঠে কুয়েত। কর্নার থেকে পাওয়া বল কয়েক পা ঘুরে যায় আল রশিদের পায়ে। তার ক্রসে সালমান মোহাম্মদ হেড দিলে দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ইসা ফয়সাল। দুর্দান্ত খেলেছেন গোলরক্ষক আমিনুর রহমান জিকোও। তবে হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে। ফলে ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র হয়।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দল আক্রমণে শক্তি বাড়ায়। বেশ কিছু সুযোগও তৈরি করে দুই দল। কেউই কাজের কাজ করতে পারেনি। ফলে প্রথমার্ধের মতো ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ গোলশূন্য ড্র হয়। ফলে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়।
কুয়েতের বিপক্ষে জয় নেই বাংলাদেশের। বাংলাদেশের সঙ্গে এর আগে কুয়েতের মোট ২ বার দেখা হয়েছিল। ১৯৭৩ সালে মারদেকা কাপে প্রথম দেখায় বাংলাদেশ হারে ২-১ ব্যবধানে। পরে ১৯৮৬ সালে এশিয়ান গেমসে লড়ে দুই দল। সেবার ৪-০ ব্যবধানের বড় হার দেখতে হয় লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। ৩৭ বছর পর আবারো মুখোমুখি হলো দুই দল।