ময়মনসিংহের ভালুকায় একদিনে মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ সহ পৃথক পৃথক স্থান থেকে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ভালুকা মডেল থানা ও ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশ।
জানা যায়, (০৪ জুলাই) মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কাশর এলাকায় কাপড় শুকাতে গিয়ে নির্মানাধীন ভবনের দু’তলার ছাঁদ থেকে পা পিছলে পড়ে গিয়ে নুরুন্নাহার (৪২) নামে কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। নিহতের স্বজনরা জানায়, নুরুন্নাহার তার পরিবারসহ উপজেলার কাশর এলাকার আব্বাস আলীর বাসায় ভাড়া থাকতো। সে স্থানীয় এডাম্স ফ্যাক্টরীতে অপারেটর হিসাবে কাজ করতো। নিহত নুরুন্নাহার ময়মনসিংহ ফুলপুর এলাকার আব্দুল মালেক মিয়ার স্ত্রী।
একই দিন দুপুরে আব্দুল্লাহ (১০) নামে এক মাদরাসার হিফজ পড়ুয়া ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। নিহত আব্দুল্লাহ উপজেলার ডাকাতিয়া বিন্নরীপাড়ার আনোয়ার খানের ছেলে। নিহত আব্দুল্লাহ পাশের সখিপুর উপজেলার আড়াইপাড়া এলাকায় একটি মাদরাসায় হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিলো।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আনোয়ার খানের বড় ছেলে হুজাইফার সাথে ছোট ছেলে আব্দুল্লাহর মোবাইলে গেইম খেলা নিয়ে সকালে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ বসতঘরের আড়ার সাথে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
অপরদিকে একইদিন সকালে জামিরদিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকা থেকে ঘরের তালা ভেঙে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা সিনথিয়া আক্তার (২৭) ও শিশু কন্যা আয়েশা আক্তার (৩)’র মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের স্বামী জাহীদ হাসান ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। জাহীদ হাসান স্থানীয় পিএ নীট টেক্সটাইল মিলের সিনিয়র সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত আছেন। সোমবার (৩জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার জামিরদিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায় বদরুল ইসলামের ভাড়া বাড়ীতে ঘটনাটি ঘটে।
ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ পিপিএম জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মেহেরাবাড়ী নামক স্থানে ঢাকাগামী একটি পিকআপকে পেছন থেকে সৌখিন পরিবহনের যাত্রীবাহি একটি বাস ধাক্কা দিলে পিকআপের যাত্রী হালুয়াঘাট উপজেলার নাগরা, হাপানিয়া এলাকার পরিমল ঘোষের ছেলে প্রান্ত ঘোষ (২২) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। প্রান্ত ঘোষ নারায়নগঞ্জের একটি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, খবর পয়ে পৃথক পৃথক স্থান থেকে নিহতদের লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।