পটুয়াখালীর বাউফলে বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের সঙ্গে কাঁচা মরিচ না দেয়াকে কেন্দ্র করে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- মো. জিসান (১০), মতি হাওলাদার (৭০), সালেহা বেগম (৭০), ফিরোজ হাওলাদার (১৮), মালেক হাওলাদার (৪০), মো. রফিক মিয়া, মো. মিজান, খালেক হাওলাদার ও মো. হাচিব (৯)। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মিরাজুল ইসলাম জানান, আহতদের মধ্যে মতি হাওলাদার, জিসান, খালেক হাওলাদার, ফিরোজ, সালেহা, মালেকসহ ৭ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অপর আহত রফিক ও মিজানকে বরিশাল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
জানা গেছে, কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামের মো. নিজাম মিয়ার ছেলে মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে একই গ্রামের বকু ফকিরের মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার বিকেলে ছেলে পক্ষ বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে অনুষ্ঠানে যায়। খাবার টেবিলে মাছ, মাংস ও পোলাও দেয়া হলেও কাঁচামরিচ ও সালাদ ছিল না।
এ সময় ছেলের পক্ষের লোকজন খাবার টেবিলে সালাদ ও কাঁচা মরিচ চান। পরে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হন।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনা নিয়ে কনকদিয়া ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি ওই খানে ছিলাম না। লোক মুখে শুনেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
এ প্রসঙ্গে বগা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. সোহেল জানান, মঙ্গলবার বিকেলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে, এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি বলে জানান তিনি।