ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকায় এডিস মশার প্রজননস্থল খুঁজতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি চালাচ্ছে ‘চিরুনি অভিযান’। আর ড্রোন জরিপ করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে ড্রোন উড়িয়ে মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থল শনাক্তে ভালো ফল পাওয়ায় এবার পুরো সিটিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা।
বুধবার ঢাকার আদাবর-মোহাম্মদপুর এলাকার সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে ড্রোন সার্ভে শুরু হয়। একই সঙ্গে উত্তর সিটির পাঁচটি এলাকায় চলছে এই ড্রোন জরিপ।
অনুষ্ঠানে সেলিম রেজা বলেন, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে দুই কিলোমিটার দূরত্বে যেতে সক্ষম এসব ড্রোন দিয়ে ছাদ বাগান রয়েছে এমন উঁচু ভবনগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। ছবিতে যেসব বাড়ির ছাদবাগানে জমে থাকা পানির অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা গিয়ে লার্ভা শনাক্ত করছেন এবং নিধন করছেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলছেন, এডিস মশা প্রতিরোধী কার্যক্রমে নাগরিকদেরও তারা সম্পৃক্ত করতে চান।
আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সিটি করপোরেশনের পুরো এলাকায় এই ড্রোন সার্ভে শেষ করার লক্ষ্য ঠিক করেছে উত্তর সিটি। পাশাপাশি আগামী ৮ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে মশক নিধনের ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’।
উত্তর সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম শফিকুর রহমান বলেন, ধরুন কারো একটা পাঁচ কাঠা জায়গা আছে; যেটা চারদিক থেকে দেয়াল দিয়ে ঘেরা। সেখানে আমাদের লোকজন চাইলেই ঢুকতে পারছে না। এসব জায়গা আমরা ড্রোনের সাহায্যে উপর থেকে ছবি নিয়ে চিহ্নিত করতে পারি।
তিনি বলেন, আমাদের বাসায় ফ্রিজ আছে। সেই ফ্রিজে যদি পানি জমে থাকে সেটা তো আর সিটি করপোরেশনের লোকজন চিহ্নিত করতে পারবে না। তাই আমাদের প্রত্যেকের নিজেদের উদ্যোগী হয়ে এ অভিযানে সামিল হতে হবে। সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি, তাহলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর উত্তর সিটির তিন লাখ ৬৫ হাজার বাড়ির ছবি সংগ্রহ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৮০০ বাড়িতে ছাদবাগান পাওয়া যায়। তার মধ্যে প্রায় আড়াইশ বাড়িতে পাওয়া গেছে মশার লার্ভা। ড্রোন দিয়ে লার্ভা চিহ্নিত করা সম্ভব না। তবে সেখানে ছাদ বাগান ও বাগানে জমা পানি চিহ্নিত করা যায়।