মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডেস্ক :
মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার রাজানগর গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান খন্দকার হত্যা মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন এবং ৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার প্রধান আসামি লিটন চৌধুরী ওরফে জেআই লিটন চৌধুরীসহ ১০ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাঈদ আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে রায় ঘোষণার পর রায়ে মামলার প্রধান আসামি লিটন চৌধুরী খালাস পাওয়ায় নিহতের বোন তরুলতা আদালতের ৫ম তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ওই সময় দুই ব্যক্তি তাকে ধরে ফেলেন।
বিচারে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. আলমগীর হোসেন, মোহসিন খান ও সাগর। ১০ বছর করে দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ জন হলেন, অলিয়ার রহমান অলি, মো. আমিনুল ইসলাম খান ও মিজানুর রহমান মিজান। লিটন চৌধুরীসহ খালাস প্রাপ্তরা হলেন, জিন্নাহ চৌধুরী, ইলিয়াছ হোসেন, বাসেক আলী ওরফে বাছেদ আলী খান, আসলাম শেখ, সোহাগ শেখ, আক্কাছ আলী, জুয়েল, কাওছার ব্যাপারী ও বিপ্লব ওরফে ইকবাল।
রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের নিহতের মটরবাইক পুড়িয়ে ক্ষতি সাধনের জন্য আরও ৭ বছর করে কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রায়ের পর নিহতের বোন তরুলতা বলেন, ‘আমার সামনে আসামি লিটন চৌধুরী আমার ভাই আসাদকে কুপিয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে লিটন চৌধুরীর নামও এসেছে। আর বিচারক তাকে খালাস দিয়েছেন। আসামিরা খালাস পাওয়ার জন্য দুই কোটি টাকা খরচ করেছে। তারা রায় কিনে নিয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২১ অক্টোবর রাত সোয়া ৯টার দিকে ভিকটিম আসাদ মটরবাইকে করে রাজনগর বাজারে গেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় নিহতের মা আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় ২০১৪ সালের ১২ মে পুলিশ পরিদর্শক এসএম শহিদুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলাটিতে ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে আদালত। মামলাটির বিচারকালে ট্রাইব্যুনাল ৪২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আসামিদের মধ্যে মিজানুর রহমান আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/০২–০৬–২০১৬ইং/মোঃ নোমান