জয়পুরহাটে ভিসিডি নিয়ে দ্বন্দ্বে মোহাম্মদ আলী নামে এক কিশোরকে হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আহসান হাবীব ও ওহেদুল ইসলাম। তারা পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বিকেলে আহসান হাবীব ও ওহেদুল ইসলাম ফুটবল খেলা দেখার কথা বলে মোহাম্মদ আলীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তারা ওইদিন রতনপুরের একটি দোকান থেকে মোহাম্মদ আলীর নামে ভিসিডি ভাড়া নেয়। পরে হাবীব ও ওহেদুল মিলে তা বিক্রি করে দেন। ভাড়া করা ভিসিডি বিক্রি করা নিয়ে মোহাম্মদ আলী এবং ওই দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনাটি লোকজনকে জানিয়ে দেবে বলে মোহাম্মদ আলী তাদের জানিয়ে দেয়।
এতে হাবীব ও ওহেদুল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ওইদিন রাত ১১টার দিকে বাগজানা এলাকায় খেয়াঘাটে নদী পার হওয়ার সময় নৌকা থেকে বাঁশের লাঠি নেন হাবীব। রাস্তা দিয়ে তিনজন আসার পথে তাদের মধ্যে আবারও এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাঁশের লাঠির আঘাতে আহসান হাবীবের মৃত্যু হয়। তারা মোহাম্মদ আলীকে সেখানে ফেলে চলে আসেন। এ ঘটনার পরদিন মোহাম্মদ আলীর বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৫ সালের ১৬ মার্চ আদালতে আসহান হাবীব ও ওহেদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। হত্যার দীর্ঘ সাড়ে ১৮ বছর পর আদালত আজ এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল ও সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) উদয় সিংহ। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম তালুকদার, অ্যাডভোকেট বিমান চন্দ্র বসাক, অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, ও অ্যাডভোকেট আবু কায়সার।