সবাইকে অবাক করে দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান তামিম ইকবাল। দেশসেরা এই ওপেনারের আচমকা এমন সিদ্ধান্তে হতবাক সবাই। এরপর তামিম ইকবালকে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তামিম।
তবে অবসর থেকে ফিরলেও চলমান আফগানিস্তান সিরিজের বাকি ২ ম্যাচে খেলবেন না তামিম। আপাতত দেড় মাসের বিশ্রামে থাকবেন তিনি। এশিয়া কাপ দিয়ে আবারও দলে ফিরবেন তিনি।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বের হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে তামিম বলেছেন, ‘আজ দুপুরবেলা প্রধানমন্ত্রী আমাকে দাওয়াত দিয়েছিলেন। উনার সঙ্গে আমরা অনেকক্ষণ আলোচনা করেছি। উনি আমাকে খেলায় ফিরে আসতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি আমার অবসর এই মুহূর্তে তুলে নিচ্ছি। কারণ, আমি সবাইকে না বলতে পারি কিন্তু দেশের যে সবচেয়ে বড় ব্যক্তি তাকে না বলা আমার পক্ষে অসম্ভব। এতে মাশরাফি ভাই ও পাপন ভাইয়ের বড় ভূমিকা ছিল। মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে নিয়েছেন। সাথে ছিলেন পাপন ভাই।’
আজ শুক্রবার সকালেই চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকা এসেছেন তামিম ইকবাল। আগামী ১৮ জুলাই পারিবারিক সফরে দুবাই যাওয়ার কথা তামিমের। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে দেখা করেছেন। তামিমের সঙ্গে গণভবনে গিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও। তামিমের স্ত্রী আয়েশা ইকবালও ছিলেন সাথে।
গতকাল অবসর নেওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়া তামিম বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকালের ম্যাচটিই আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। এই মুহূর্ত থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছি। সিদ্ধান্তটি হুট করে নেওয়া নয়। অনেকদিন ধরেই আমি এটা নিয়ে ভাবছি। পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছি এটা নিয়ে।’
তামিমের অবসরের বিষয়ে জানতেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসাান পাপন। এই ওপেনারের সিদ্ধান্ত ‘আবেগবশত’ হতে পারে বলেও মন্তব্য পাপনের। তবে বিসিবি সভাপতি চান ফিরে আসুক তামিম। গতকাল দিবাগত রাত ১২টার পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, ‘আমি এখনো বলছি, ওয়ানডে ক্রিকেটে তামিম আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই সে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আবার খেলায় ফিরে আসুক। এই সিদ্ধান্ত নিলে আমি খুশি হব।’